শিগগিরি আমেরিকার মিনিয়াপোলিস শহরে কোনো পুলিশ থাকবে না। স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মারাত্মক বর্ণবাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানকার পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগনের আস্থা উঠে যাওয়ায় এই সংস্কার আনা হচ্ছে। গত ২৫ মে আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠার পর সেখানকার সিটি কাউন্সিল স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে ভেঙে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
কাউন্সিলের ১৩ সদস্যের মধ্যে নয় জনই নতুন মডেলের জন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, যে শহরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ রয়েছে সেখানে পুলিশ বিভাগে সংস্কার আনা প্রয়োজন। কাউন্সিলরদের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে খুব শিগগিরি মিনিয়াপোলিস শহরে কোনো পুলিশ থাকবে না। স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে। সে অনুযায়ী তহবিলও বরাদ্দ দেয়া হবে।
প্রথমদিকে এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিলেন মেয়র জ্যাকব ফ্রে। ফলে বিক্ষোভ থেকে তার প্রতি নিন্দাবাদ জানানো হয়। অন্যদিকে, এমন উদ্যোগের পক্ষের আন্দোলনকারীরা এ পদক্ষেপকে টার্নিং পয়েন্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন।
দুই সপ্তাহ আগে মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে প্রতারণার অজুহাত তুলে একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার হত্যা করে। এ ঘটনায় সারা আমেরিকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে; এমনকি আমেরিকার বাইরে বহু দেশে বর্ণবাদ-বিরোধী সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।